বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৬৯ সালের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফায় শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি চাই- এ কথায় ‘শেখ মুজিব’ শব্দ দুটি লিখতে দেয় নাই ছাত্র ইউনিয়নের মতিয়া ও মেনন গ্রুপ। তারা বলেছে, আমরা মানি না।
 
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী সংবাদচিত্র কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মনি সিংহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে দেয়া বক্তৃতায় বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা সমর্থন করতে পারি নাই। আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনতে পারি নাই। কিন্তু বাংলার মানুষ ঠিকই চিনতে পেরেছে।
 
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফর প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। এমন একটি বৈঠকে আমারও থাকার সুযোগ হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে আপনাদের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন নিক্সন সরকার বিরোধিতা করছিলো সত্যি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আপনাদের সমর্থন করেছে। আমিও তখন আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিলাম।
 
জঙ্গি প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন এসব সাজানো, পরবর্তীতে কল্যাণপুরে জঙ্গিদের উপরে পুলিশের সফল অভিযানের পর তিনি বললেন, পরিকল্পিতভাবে পেছন দিক দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, একইভাবে নারায়নগঞ্জের সফল পুলিশি অভিযানের পরও বক্তব্য দিলেন। এতেই প্রমাণ হয় তিনি কী চান। অন্য সবার সঙ্গে তার পার্থক্য কোথায়।
 
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, যুবনেতা শহীদ সেরনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মাহী, কাজী আনিসুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ বাবলু প্রমুখ।