সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:০০

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ আরও আগেই উন্নত হতো : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ আরও আগেই উন্নত হতো। কিন্তু ৭৫- এ তাঁকে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা তা হতে দেয়নি। এরপর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই জাতিকে মাথা উঁচু করতে দেয়নি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরাই দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি।"

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, "১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। জাতির পিতা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। তার আহ্বানে সাধারণ মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে নির্দেশ জাতির পিতা দিতেন, বাঙালিরা সেই নির্দেশ মেনে নিতেন।"

তিনি বলেন, "ইয়াহিয়া খান ফাঁসি দিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিশ্বজনমতের চাপে পাকিস্তানি শাসকরা তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১০ জানুয়ারি তিনি ফিরে এসে সর্বপ্রথম এসেছিলেন এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দেশে ফিরে এসে একটি বিধ্বস্ত দেশকে জাতির পিতা গড়ে ত‍ুলতে চেয়েছিলেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে যখন মানুষ জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমরা প্রত্যেকের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করব। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। দেশের সকল নাগরিকের জন্য মানসম্মত আবাসন গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।"

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যারা মানুষ খুন করে, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসায়, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।"

মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পৌনে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। আর বিকাল সোয়া ৪টায় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে বক্তব্য শুরু করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত