২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১১:৩০
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ডাকা হরতালে পুলিশ ও হরতালকারীদের মধ্যে ধাওয়া ও পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শাহবাগ থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে দফায় দফায় কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে, জলকামান ব্যবহার করে।
রামপালে তাপবিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকায় আধাবেলা হরতাল ডাকে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
জাদুঘর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে রামপালবিরোধীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে অন্তত ছয়টি টিয়ারশেল চারুকলা অনুষদের ভেতরে এসে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
সকাল ৬টায় এই হরতাল শুরুর পর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তারসহ বিক্ষোভে থাকা অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।
হরতালের সমর্থনে পল্টন, প্রেসক্লাব, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় সকাল থেকে মিছিল চললেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও গোলাযোগের খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে নগর পরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতই।
সকাল ৬টার দিকে বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা টিএসসি মোড় থেকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তায় গিয়েই তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ পিছিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানের কাচ ভাংচুর করে।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হরতালকারীরা মিছিল নিয়ে আবার শাহবাগের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছোড়ে। বাধা পেয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা চারুকলা অনুষদের সমানের রাস্তায় অবস্থান নেন এবং সেখানে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যতবারই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, ততবারই পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের হটিয়ে দিয়েছে। কয়েক দফা ব্যবহার করা হয়েছে জল কামানও। জবাবে পুলিশের দিকে ঢিল ছুঁড়ে হরতালকারীরা।
আপনার মন্তব্য