সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ মার্চ, ২০১৭ ১৯:১৭

কুমিল্লার আস্তানায় ‘জঙ্গি নেই’

কুমিল্লার কোটবাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে সোয়াটের অভিযানের পর ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি।

তবে ভেতরে বিস্ফোরক রয়েছে জানিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্যে অভিযান শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত  স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় দুইজন জঙ্গি ছিল।  দুই জঙ্গির একজন বুধবার সকাল ১০টার আগেই চলে গেছে, অন্যজন বিকালে হয়তো পালিয়ে গেছে।’ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে  তিনি এ তথ্য জানান।

এ সময় পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি বলেন, ‘কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় যে দুই জঙ্গি ছিল তাদের একজনের নাম আনাস ওরফে আনিস। তার বাড়ি নোয়াখালী। বয়স ১৯/২০ বছর। সে পাঁচ মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছে। আরেকজন নাম রনি। সে নব্য জেএমবির সদস্য। তার বয়স ২২/২৩ বছর। বাড়ি রাজশাহী। সেও পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ হয়েছে।’  

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি  বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানায় যে দুই জঙ্গি ছিল, তাদের মধ্যে আনিস বুধবার সকাল ১০টার আগেই চলে গেছে। আরেকজন বিকাল পৌনে চারটায় যখন জঙ্গি আস্তানা হিসেবে বাড়িটি চিহ্নিত করি, তার আগেই হয়তো পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও  বলেন, ‘জঙ্গিদের একটি কৌশল আছে। একজন বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আরেকজনকে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে যায়। এর মধ্যে যদি সে ফিরে না আসে, তাহলে অন্যজন বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এ পন্থা ব্যবহার করে হয়তো দ্বিতীয়জন বেরিয়ে গেছে। যে কারণে আস্তানায় আমরা কাউকে পাইনি। তবে তারা দু’জনই এখানে ছিল আমরা নিশ্চিত।’  
দুদিন আগে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার পর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সোয়াট ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা শুরু করেন চূড়ান্ত অভিযান, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’।

তিনি বলেন, “জঙ্গিদের অচেতন করতে ভেতরে গ্যাস দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও কার্যকর রয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্যে এখনিই সেখানে অবস্থান করা যাচ্ছে না ”

ভেতরে জঙ্গিদের কাউকে না পেলেও একটি ট্রলিতে পাঁচ কেজি ওজনের দুটি বোমা, চারটি হাতে বানানো গ্রেনেড ও দুটি সুইসাইড ভেস্ট থাকার কথা বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত