তপন কুমার দাস, মৌলভীবাজার থেকে

০১ এপ্রিল, ২০১৭ ১৫:০৭

‘বড়হাটে পুলিশের দিকে প্রথম গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে নারী জঙ্গি’

বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় প্রথম দিনে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন নারী জঙ্গি ভবনের ছাদে উঠে পুলিশকে লক্ষ্য করে ২টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর একটি বিস্ফোরিত হয়েছিল এবং একটি এখনও অবিস্ফোরিত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে রয়েছে। তবে যেটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেটি অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন। তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে আমাদের এগোতে হয়েছে।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে জঙ্গিদের দমন করতে গিয়ে র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আজাদসহ বাংলাদেশ পুলিশের ৯ জনকে হারিয়েছি। ফলে স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখানে কাজ করেছি।"

তিনি বলেন, "আপনারা জানেন, মৌলভীবাজারের আশেপাশে যারা রয়েছেন, তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে এটা করা হয়েছে।"

তিনি আরো বলেন, "আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই অভিযান সফলভাবে শেষ করা। জঙ্গিদের জীবিত ধরার চেষ্টা ছিল আমাদের। এই জন্য তাদের আমরা আহ্বানও করেছিলাম আত্মসমর্পণ করার জন্য। তাদের আত্মসমর্পণ করানোর জন্য যখনই সোয়াট কাছে যাবার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা সোয়াটের দিকে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আপনারা এই বিস্ফোরণের শব্দগুলোও শুনেছেন।"

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, "গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টায় যখন আমরা অভিযান আপাতত স্থগিত করে ফিরছিলাম, তখন আমরা দেখলাম তারা আবার সোয়াট সদস্যদের হামলার উদ্দেশে দুইটি শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণে আমরা ভবনে ধোঁয়া উড়তে দেখেছি। আমাদের ধারণা ছিল ভবনটিতে আগুন ধরে গেছে।"

গত বুধবার (২৯ মার্চ) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর ও পৌর শহরের বড়হাট এলাকার দুই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সোয়াট টিম। দুটি বাড়ির মালিক এক লন্ডন প্রবাসী বলে জানায় পুলিশ। জঙ্গিরা 'প্রাণ-আরএফএল' কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে জানান বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত