সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ মে, ২০১৭ ২৩:৫৬

নাসিরনগরে হামলার ‘মূল হোতা’ ইউপি চেয়ারম্যান আঁখি জামিনে মুক্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুরের 'মূল হোতা' সন্দেহে গ্রেফতার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৩ মার্চ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২২ মার্চ তার চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আঁখির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার নম্বর ও ধারা বিভ্রাটের কারণে তিনি বিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন মূল হোতা হিসেবে উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখির নাম বেরিয়ে এলে তিনি গা-ঢাকা দেন। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার ভাটারা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ছাড়া ১৫ জানুয়ারি আঁখিকে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেসবুকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেফতার হয় নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস। পরদিন রসরাজের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে নাসিরনগর উপজেলা।

৩০ অক্টোবর মাইকিং করে নাসিরনগর সদরে সমাবেশ ডাকে দুটি ইসলামী সংগঠন। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই দুষ্কৃতকারীরা উপজেলা সদরে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০টি মন্দির এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে দুষ্কৃতকারীরা আবারও উপজেলা সদরে হিন্দুদের ছয়টি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক আটটি মামলা হয়। মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতাসহ ১২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত