সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ মে, ২০১৭ ১৩:৩৯

শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শ্যামল কান্তি ভক্ত

নারায়ণগঞ্জে সাংসদ সেলিম ওসমানের হাতে লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছেন।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত অভিযুক্ত শ্যামল কান্তি ভক্ত ন্যায়বিচার পাননি জানিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উচ্চ আদালতে চলমান মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তার আইনজীবী শাখাওয়াত হোসেন খান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ২০১৪ সালে বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে দুই দফায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু শিক্ষক মোর্শেদা বেগমকে এমপিওভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেননি। এই ঘটনায় গত বছরের ২৭ জুলাই মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। গত ১৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির চারটি ধারায় (১৬১/৪১৭/৪০৬/৪২০) অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যানদীতে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় অবমাননার কটূক্তির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত