২৪ মে, ২০১৭ ১৪:৫৭
পিরোজপুরে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
বুধবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী ও মো. রুহুল আমিন এবং প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ আব্দুর রহমান।
দুদুকের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিরা ২০১২ সালের ৬ নভেম্বরে দুদুকের দায়ের করা একটি দুর্নীতি দমন মামলার আসামি। পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসের সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক অঞ্জন কুমার দাসের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দুদুক সোনালী ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তাসহ মোট ছয় ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজসের প্রমাণ পায়।
অপর তিন কর্মকর্তারা হলেন- প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং সিনিয়র অফিসার সুখেন্দু বিকাশ ও মো. নুরুল ইসলাম।
মূল আসামি অঞ্জন কুমার ২০০৪ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারদের স্বাক্ষর জাল ও প্রতারণা করে শতাধিক চেকের মাধ্যমে ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৬ টাকা সোনালী ব্যাংক পিরোজপুর শাখা থেকে তুলে নেন। এ সময় আটক তিনজনসহ ছয় ব্যাংক কর্মকর্তার সহযোগিতায় এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই ঘটনা ধরা পড়ার পর তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার মো. শফিকুর রহমান অফিস সহকারী অঞ্জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর থানায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর প্রতারণা ও ২৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেন।
মামলায় অঞ্জন কুমার দাসকে দুদক গ্রেপ্তার করলে বর্তমানে তিনি আদালতের আদেশে জামিনে আছেন। দীর্ঘ তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বুধবার (২৪মে) দুদকের টিম সোনালী ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আটক ব্যাংক কর্মকর্তাদের পিরোজপুর থানায় সোপর্দ করা হলে দুপুরে তাদের পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
আপনার মন্তব্য