সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুলাই, ২০১৭ ২২:৩৫

সরকার আমাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিলো না : তাহসিনা

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা অভিযোগ করে বলেছেন, এই সরকার আমাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতেও যেতে দিলো না। অফিসিয়াল সকল কাগজপত্র দেখানোর পরও ছেলের সমাবর্তনে যেতে না দেয়াটা খুবই দুঃখজনক।

লুনাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ লন্ডন যেতে না দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।

লুনা বলেন, আমি একটি গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। কোন অভিযোগও নেই। আমি অফিসিয়াল সকল কাগজপত্র দেখানোর পরও ছেলের সমাবর্তনে যেতে না দেওয়াটা খুবই দু:খজনক। এখন তো স্বাভাবিক জীবনযাত্রাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছি। অফিসের ছুটির যাবতীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করার পরও তারা আমাকে যেতে দেয়নি। ইমিগ্রেশন থেকে আমাকে জানানো হয়, উর্ধ্বতন আদেশে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনাকে যেতে দেয়া হবে না। তবে আপনার ছেলে-মেয়েরা যেতে পারে। সেখানে ছেলের পাশে আমার থাকার কথা ছিলো। কিন্তু আমাকে যেতে দেয়া হলো না। ছোট ছেলেকে একাকি লন্ডন যেতে হয়েছে।

লুনা বলেন, আমার বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। সেখানে তার আনুষ্ঠানিক সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ১৪ জুলাই। আজ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন যাওয়ার শিডিউল ছিলো। বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাসও হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু ইমিগ্রেশন থেকে আমাকে যেতে দেয়া হয়নি।

এর আগে রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাহসিনা রুশদি লুনাকে আটকে দেয়। এতে তাহসিনার লন্ডন যাত্রা বাতিল হয়ে যায়।

ইলিয়াস আলী ও লুনা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে ইউনির্ভাসিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ডে এলএলবিতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। ছোট ছেলে লাবিব সারার যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি ইউনির্ভাসিটিতে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের দ্বিতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট। আর একমাত্র মেয়ে এখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত