সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ নভেম্বর, ২০১৭ ১৬:১০

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ। এই রেলপথ ফের চালুর জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পুনর্বাসন চুক্তি করেছে সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী, ৫৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যয়ে ৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হবে।

বুধবার রাজধানীর রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কালিন্দী রেল নির্মাণ (টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিডেটের একটি বিভাগ)-এর সঙ্গে এই চুক্তি হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) আব্দুল হাই ও টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শারদ শর্মা স্বাক্ষর করেন।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী ২ বছরের মধ্যে আগামী ২০১৯ সালে রেললাইনের পুনর্বাসনের কাজ শেষ হবে।

চুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রেলওয়ের ৪৪ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার মেইনলাইন ও ৭ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার লুপ লাইন পুনর্বাসন করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী, ছয়টি স্টেশন (চারটির ক্লাস-বি, দুটির ক্লাস-ডি) হবে- জুড়ী, দক্ষিণবাগ, কাঁঠালতলী, বড়লেখা, মুড়াউল ও শাহবাজপুর। ১৭টি বড় সেতু ও ৪২টি ছোট সেতু বা বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

১৮৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ের কুলাউড়া-শাজবাজপুর সেকশন চালু করা হয়। ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই পথটি। ১৯৫৮-৬০ সালে এই রেলপথটি পুনর্বাসন করা হয়। ২০০২ সালের ৭ জুলাই কুলাউড়া-শাজবাজপুর রেলপথ বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৫ সালে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ অংশের পুনর্বাসনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাজবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১২২ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার টাকা, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে সংস্থান হবে ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন জানান, চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কালিন্দী রেল আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ কাজ শেষ শেষ করবে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালিন্দী রেল নির্মাণের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে কাজটা যাতে তারা দ্রুত করেন এবং কাজের গুণগতমান যেনো ভাল হয়।’

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ভারতীয় হাইকমিশন, কালিন্দী রেল নির্মাণ ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত