সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০১৭ ২০:৩৭

পিলখানা হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী খালাস

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাই কোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী। তিনি ছিলেন ওই ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই রাজনৈতিক নেতার মধ্যে অন্যতম, অপরজন ছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু।

সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বিশেষ হাই কোর্ট বেঞ্চের দেয়া রায়ে তিনি খালাস পান।

দণ্ডিতদের অধিকাংশই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান ও নন কমিশনড অফিসার হলেও যাবজ্জীবনের দুই আসামি ছিলেন দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। রাজশাহী কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ মে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি তোরাব আলীকেও জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।  আপিল শুনানি করে হাই কোর্ট সোমবার তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান বিচারিক আদালতের রায়ে এ মামলায় বাহিনীর বাইরে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি পিলখানার পাশের এলাকার বাসিন্দা নায়েক সুবেদার (অব.) কাঞ্চন আলীর ছেলে জাকির হোসেন। হাই কোর্টের রায়ে জাকিরের সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। এটি ছিলো দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত