নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৩:১৯

সিলেট হয়ে ঢাকায় মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ

টিভি ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়।

এরপর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বনানীর বাসার অভিমুখে রওনা হয়। বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাকিল মেরাজ এ তথ্য জানান।

এসময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আনিসুল হকের ছোট ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা আনিসুল হকের মরদেহ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আনিসুল হকের মালিকানাধীন নাগরিক টিভির সিইও ডা. আব্দুর নূর তুষার জানান, আনিসুল হকের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে তিনি থাকবেন দুপুর তিনটা পর্যন্ত। তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানাবেন।

তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত সেখানে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনিসুল হকের মরদেহ রাখা হবে।

সেখানেই বাদ আছর নামাজে জানাজা হবে। এরপর সন্ধ্যার আগেই বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে ও ছোট ছেলে শারাফের কবরে তাকে দাফন করা হবে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদ (রিজেন্ট পার্ক মসজিদ নামে পরিচিত) জুমার নামাজের পর আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।

প্রথম জানাজার পর বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১২ টার সময় মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০০২ ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে এসে ১১টা ৩০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় ফ্লাইটটি তার যাত্রী নামিয়ে আবার ১২.২০ এ ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। ২৮ নভেম্বর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত