সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:৫০

স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটির বিরোধিতায় ওবায়দুল কাদের

সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধিতা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের গুণগত অভিজ্ঞতার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

এসময় তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্যে করে এই স্কুল কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত করার নির্দেশনা দেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনিতেই ছেলে-মেয়েদের পিঠে বই-পুস্তকের বোঝা, তার ওপর রাজনীতির বোঝা চাপানোর দরকার নেই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি থাকতে পারে। এসব জায়গায় ছাত্রলীগের কমিটি আরও পরিশীলিত করতে হবে।

বিএনপির নেতাদের বলা ‘দেশে আইনের শাসন নেই’ বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ছাত্রলীগের ছেলে আছে এখন জেলে। কারও কারও যাবজ্জীবন জেল হয়েছে। কারও ফাঁসি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু বিএনপির আমলে তাদের দলের কোনও নেতাকর্মীর কোনও বিচার হয়েছে?’

আমাদের লোকেরা অপকর্ম করলে সেই অপকর্মের ফলও ভোগ করে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একজন মন্ত্রীর ছেলে হয়ে জেলে, এমপি কারাগারে। আরেক এমপি আদালত থেকে জামিন নিয়ে আছে। দুই মন্ত্রীকে দুদকের মামলায় কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়। বিএনপির আমলে কি এসব কখনও হয়েছে। কোনও বিচার হয়নি। কিন্তু আমরা কোন অপরাধীকেই ছাড় দিব না।’

এসময় রংপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত রকমের লেখালেখি। কেউ কেউ জল খেয়ে রাজনৈতিক কারণে নেমে পড়েছে আমাদের বিরুদ্ধে, সেটা আমরা বুঝি। আমরা বুঝি প্রথম পাতা, শেষ পাতা সরকারের বিরুদ্ধে দিচ্ছে। সবই বুঝি।

কাদের বলেন, ‘কুমিল্লায় আমরা যখন ৩৫ হাজার ভোট আগের চেয়ে বেশি পেলাম সেটা কিন্তু কেউ লেখেনি। আবার নারায়ণগঞ্জে আমরা দেড়গুণ বেশি ভোট পেয়ে জিতেছি, সেটাও লিখেনি। এখন রংপুরে আমরা হেরেছি, কিন্তু কাউন্সিলরে প্রথম হয়েছি, সেটাও কেউ বলেনি।’

নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপি অনাস্থা প্রকাশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় আস্থা ছিল, রংপুরে নেই। কেমনে আপনাদের টেনে তুলব? আপনারা তো দ্বিতীয়ও হননি, হয়ে গেলেন তৃতীয়। তৃতীয়কে টেনে তুলবে কিভাবে। নির্বাচন কমিশনের কি এটা দায়িত্ব? তাহলে তো আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনই আপনাদের দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা অর্জনের জন্য।’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনসহ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত