সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৪:২৯

এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তাফা কামালের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাছাড়া তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ১৬৫ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার আসামি তারা।

আদালত একইসঙ্গে এ মামলার নথিপত্র বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে হাইকোর্টে দ্রুত পাঠানোর জন্য ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদালত থেকে বেরিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এবি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ওয়াহিদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তাফা কামালকে দেয়া নিম্ন আদালতের জামিন কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আসামিরা ভুয়া অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের আড়ালে বাংলাদেশি প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা পরস্পরের যোগসাজশে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের ইপিজেড শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট খেকে দুবাইয়ে পাচার করে আত্মসাৎ করেন।

অর্থ পাচারের ওই অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমানকে এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ২ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে এম ওয়াহিদুল হকসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক (দুদক) এ ঘটনায় এম ওহিদুল হকসহ ৭ কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

অর্থ পাচারের ঘটনাটি ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে ঘটে। এ কারণে ব্যাংকটির ১৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয় দুদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত