সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ মার্চ, ২০১৮ ১২:৩০

ভালুকায় ভবনে বিস্ফোরণ: বাঁচানো গেল না কাউকে

ময়মনসিংহের ভালুকায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ কাউকেই বাঁচানো গেল না। অবশেষে শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে দীপ্ত সরকারকেও মৃত ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের এসআই বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ হাফিজুর রহমানের (২৪) মৃত্যু হয়। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন মিয়া। আর ঘটনাস্থলেই মারা যান তৌহিদুল ইসলাম (২৩)।

ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, দীপ্তর শরীরের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিরাজগঞ্জের নুরুজ্জামান আকন্দের ছেলে শাহীন মিয়ার শরীরের ৮৪ শতাংশ এবং নওগাঁ জেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমানের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রাত দেড়টার দিকে ভালুকার জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ি আইডিয়াল মোড় এলাকার জুট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর মালিকানাধীন ৬ তলা আরএস ভবনের তৃতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে তৃতীয় তলার দেয়াল ও কাঁচের দরজা-জানালাগুলো ভেঙে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ে।  এতে ঘটনাস্থলেই তৌহিদুল ইসলাম (২৩) নামের একজন মারা যান। গুরুতর দগ্ধ হন দীপ্ত সরকার (২৩), শাহীন মিয়া (২৪) ও হাফিজুর রহমান।

বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পরে পরীক্ষা করে জানান, গ্যাস থেকেই ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

পুলিশ জানায়, ওই ভবনে আগে থেকেই তিনটি সিলিন্ডার রাখা ছিল; এর বাইরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে লিক করে ওই বাসায় গ্যাস জমে যায়।

ওই ভবনের মালিক ঝুট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত