০৪ জুলাই, ২০১৮ ২৩:০১
জালালাবাদ সেনানিবাস ফটক
সেনানিবাস এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি, মাতলামি কিংবা মল-মূত্র ত্যাগের শাস্তি এক হাজার টাকা জরিমানা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া সেনানিবাসে নিবন্ধিত বাইরে কুকুরে পুষলেও গুনতে হবে ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে ‘ক্যান্টমেন্টস অ্যাক্ট-১৯২৪’ নতুন করে প্রণয়ন করতে ‘সেনানিবাস বিল-২০১৭’ পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই শাস্তির এই মাত্রা বৃদ্ধি পেলো।
সংসদে বিলটি ‘সেনানিবাস বিল’ নামে উত্থাপন করা হলেও সংসদীয় কমিটির সুপারিশে নাম পরিবর্তন করে ‘ক্যান্টনমেন্ট বিল’ নামে এটি পাস হয়।
সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দয়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। পাসের আগে বিলের উপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের জনমত যাচাই, বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়।
নতুন আইনে বাংলাদেশের যে কোনো সেনানিবাস এলাকায় রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ, জুয়াখেলা, মাতলামি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, খোলা অবস্থায় মাংস বহন, এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং, অনাবৃত রেখে বিকলাঙ্গতা ও ব্যাধি প্রদর্শন, ভিক্ষাবৃত্তির শাস্তি ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
১৯২৪ সালের ‘ক্যান্টনমেন্টস অ্যাক্ট’ এর ২৯২টি ধারা থেকে কিছু অংশ বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজিতে প্রণীত আইনগুলো বাংলায় ভাষান্তরে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট-১৯২৪ হালানাগাদ করতে আইনটি করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির যুক্তি ছিল, ‘ক্যান্টনমেন্ট’ শব্দটি থাকলে তিন বাহিনীকেই বোঝাবে। ‘সেনানিবাস’ নামটি দিয়ে শুধু সেনাবাহিনীকে বোঝায়।
আপনার মন্তব্য