সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুলাই, ২০১৮ ১৮:৩৩

চিকিৎসা পেশা কিছু দুর্বৃত্তের কাছে বন্দি, মন্তব্য হাই কোর্টের

চিকিৎসা পেশা কিছু দুর্বৃত্তের কাছে বন্দি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট।

আদালত বলেছেন, কতিপয় দুর্বৃত্তের কর্মকাণ্ডের কারণে চিকিৎসাসেবার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিপদে পড়লে মানুষ তিন জনের কাছে যায়। পুলিশ, আইনজীবী ও ডাক্তার। এই তিনটা পেশা যদি ধ্বংস হয় তাহলে মানুষে কোথায় যাবে? ডাক্তারি একটি মহান পেশা। এই পেশাটি কতিপয় দুর্বৃত্তের কাছে বন্দি।

সোমবার চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে আসা চোখ হারানো ২০ জনের ক্ষতিপূরণের রুল শুনানিতে ডাক্তারদের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট।

দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পাবলিক পারসেপশন ভালো না এবং ডাক্তারদের ব্যবহারও ভালো না বলে মন্তব্য করেন আদালত।

আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে হাই কোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। তার সঙ্গে ছিলেন সভাষ চন্দ্র দাস। অন্যদিকে, ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

আদালত বলেন, দেশে অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসক এবং ভালো মানের চিকিৎসা সেবার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কতিপয় ভুল চিকিৎসার ভয়ে রোগীরা পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাচ্ছে। এতে দেশীয় মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই আদালত এ ধরনের পরিস্থিতি কমিয়ে আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদকে নির্দেশনা দেন।

এ সময় আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ডাক্তারদের অবহেলা থাকলে তার যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত। কতিপয় দুর্বৃত্তের জন্য এই মহান পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিছু দুর্বৃত্তের কাছে বন্দি হয়ে পড়েছে চিকিৎসা পেশা।’

চট্টগ্রামে ধর্মঘট ডাকা প্রসঙ্গে আদালত বলেন, ‘নিজেদের ভুল ঢাকার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া আরো অন্যায়।’

আদালত বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থাকতে র‌্যাবকে কেন অভিযান চালাতে হবে। তাহলে অধিদপ্তরের কাজ কী বলেও প্রশ্ন রাখেন আদালত।

এর আগে গত ৩ জুলাই চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুলের জবাব না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাই কোর্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত