সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুলাই, ২০১৮ ১৪:০৩

বিকারগ্রস্ত সরকার তিন সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেবে না: রিজভী

সিলেটসহ তিন সিটি করপোরেশনে সরকারের ‘নীল নকশার নির্বাচনের’ চিত্র তুলে ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না।

সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের জন্যই সরকার তিন সিটির ভোট নিয়ে অনাচারে লিপ্ত হতে পেরেছে। কমিশন উচিত-অনুচিতের, এথিক্সের ধার ধারেনি বলেই নির্বিকার থাকছে এবং নৌকার প্রার্থীর ভোট ডাকাতিতে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে।

রিজভী বলেন, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র দখল, ধানের শীষের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ অবাধে ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনাই প্রমাণ করে এই কেমন নির্বাচন। কেন্দ্র দখল, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, জাল ভোটে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার হাসিনা মার্কা নির্বাচনকেই বাংলাদেশের নির্বাচনের মানদণ্ড করা হয়েছে।

সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ‘ভোট ডাকাতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ’ ঘটেছে বলেও অভিযোগ বিএনপির।

নির্বাচন কমিশনের ‘নীরব দর্শক’ ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কমিশন মূক ও বধির হয়ে গেছে। অবৈধ সরকার ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন অনিবার্য সম্বন্ধসূত্রে গ্রোথিত। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম থেকে সরকারের নীল-নকশার নির্বাচন নিয়ে আমরা যে অভিযোগগুলো করেছিলাম, সেটিরই আজ নগ্ন বহিঃপ্রকাশ তিন সিটিতে ফুটতে শুরু করেছে।

এর মধ্যেই ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার।

রাজশাহীতে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্র থেকে পুলিশ জোর করে বের করে দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রিজভী।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহিন, রফিক শিকদার, শামসুজ্জামান সুরুজ ও সুলতানা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত