সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:৩১

সমুদ্রপথ নিরাপদ রাখতে কোস্ট গার্ডের পাশে থাকবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কোস্টগার্ডের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল সমুদ্র এলাকা। আমাদের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। ওই এলাকার নিরাপত্তায় অবদান রাখছে কোস্টগার্ড। তারা সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সে জন্য আমরা তাদের সহায়তা করবো।’

বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ১৪তম হেডস অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সিস মিটিং (এইচএসিজিএএম)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সমুদ্রে নিরাপত্তা আরও কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে সঠিক পন্থা উদ্ভাবন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা অনেক সময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে। কাজেই কোনো একক দেশের পক্ষে এদের দমন করা সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলেই এ সকল কর্মকাণ্ড দমন করা সম্ভব এবং এটা অপরিহার্য। এইচএসিজিএএম-এর মত একটি সংগঠনই পারে আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা ও তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়ে দলগতভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এসব সামুদ্রিক অপ-তৎপরতা রোধ করে একটি নিরাপদ সমুদ্রসীমা উপহার দিতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড অপেক্ষাকৃত নতুন বাহিনী হওয়ার পরও দেশের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষমতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এশীয় অঞ্চলের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে আমাদের সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এজন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, অপরাধীরা অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে। সে কারণে একক দেশ হিসেবে কারো পক্ষেই এটা দমন করা সম্ভব না। যদি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হয় তাহলে এটা দমন করা সম্ভব। এটা অবশ্যই অপরিহার্য।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এইচএসিজিএএম-এর মত একটি সংগঠনই পারে আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা ও তথ্য উপাত্ত কাজে লাগিয়ে দলগতভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এসব সামুদ্রিক অপতৎপরতা রোধ করে একটি নিরাপদ সমুদ্র সীমা উপহার দিতে। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, সমগ্র দেশ জুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল নদী ও জলাভূমি। নদীমাতৃক সম্পদকে কাজে লাগানো এবং দেশকে অারও উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়ে ডেল্টা প্লান-২১০০ নামে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ পরিকল্পনা নেদারল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় প্রণয়ন করেছি এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছি বাস্তবায়নের জন্য। এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাগুলোকে সমন্বয় করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ নিয়ে ব্লু ইকোনোমি নীতি গ্রহণ করেছি; যা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি বলেন, ‘বিগত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক এগিয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশকে উন্নত করার জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অধিকার লাভ করি। সমুদ্রের মহীসোপান এলাকায় প্রচুর সম্পদ রয়েছে। আমরা এ সম্পদকে কাজে লাগাতে চাই।’

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের আয়োজনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কোস্টগার্ড প্রধানদের নিয়ে ঢাকা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত