ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের এমন ব্যবহার কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আজ (মঙ্গলবার) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। আমি এর জন্য শোক প্রকাশ করছি। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দিলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনও শিক্ষক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে পারবেন না। সরকার এ আইন করেছে। তদন্ত করে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাহিদ জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। এ ধরনের একটা ঘটনার পর ক্ষোভ উঠবে। আমরা সে ক্ষোভের কারণ বুঝতে পেরেছি। তারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে স্কুলটিতে গেলে সেখানে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান সম্বলিত পোস্টার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পথ আগলে দাড়ায়। এসময় অভিভাবকদের কেউ কেউ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকেন। তারা এ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা দাবি করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সেইসঙ্গে স্কুলটির শিক্ষকদের বিষয়ে নানা ধরণের অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) স্কুল কর্তৃপক্ষ বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জেরে নিজ রুমে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি অধিকারী। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, অরিত্রির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনগরের একটি বাসার সাত তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত অরিত্রি। সে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা দিলীপ অধিকারী একজন ব্যবসায়ী, মা বিউটি অধিকারী গৃহিণী। অরিত্রির ছোট বোন ঐন্দ্রিলা অধিকারীও একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।