সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৬

‘হংসবলাকা’ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘হংস বলাকা’ পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালের টারমার্কে জাতীয় পতাকাবাহী বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজটি পরিদর্শন করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ২৭১ আসনের এ উড়োজাহাজটিতে উঠে ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর পর টারমার্কে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোনাজাতে শরিক হন। বিমানটির হংস বলাকার নামকরণও করেছেন তিনি।

২০০৮ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা চারটি ৭৮৭ ড্রিমলাইনারসহ ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ ইতোমধ্যে সরবরাহ করেছে বোয়িং।

ছয়টি বিমান আসার পর ১৯ অগাস্ট ঢাকায় আসে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। আর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একটানা উড়ে ১ ডিসেম্বর রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় ‘হংস বলাকা’।

বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত দুটি ড্রিমলাইনারসহ বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ১৫টি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, নতুন প্রজন্মের এ উড়োজাহাজ দিয়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘হংস বলাকা’ দিয়ে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে ছয়টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে সপ্তাহে চারটি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ‘হংস বলাকা’ পরিদর্শনের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খান এবং বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিমানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’ নামের আরও দুটি ড্রিমলাইনার ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আসবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত