নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৪২

আ.লীগে যোগ দিলেন বিএনপির ইনাম আহমেদ চৌধুরী

সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন খালেদা জিয়ার পরামর্শকদের অন্যতম ইনাম আহমেদ চৌধুরী।

বুধবার তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রেখে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছেন।

আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন সাবেক আমলা ইনাম। প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকায় তিনি থাকলেও চূড়ান্ত মনোনয়নে বাদ পড়েন তিনি।

বিএনপির গত কমিটিতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ইনাম বর্তমান কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন। নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় না হলেও বিভিন্ন ফোরামে বিএনপির হয়ে কথা বলতেন তিনি।

এর মধ্যে ২০১৩ সালে বিএনপির আন্দোলনের সময় একবার আটক করা হয়েছিল ইনামকে।

অবসরে থাকা ইনাম ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

ইনাম গত ১৮ নভেম্বর ঢাকায় খালেদা জিয়ার জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানেও ছিলেন।

এরপর ২৯ নভেম্বর সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সিলেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাসায় গিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছিলেন।

সিলেট-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিতের ভাই এ কে এ মোমেন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।

মুহিতের আত্মীয় ইনাম তখন বলেছিলেন, “অর্থমন্ত্রী আমার পছন্দের মানুষ। তাই তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। তাকে জানিয়েছি, আমি এবার সিলেট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”

কিন্তু পরে সিলেট-১ আসনে ইনামকে বাদ দিয়ে বিএনপি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর চৌধুরীকে।

তার এক সপ্তাহ গড়াতেই ইনাম বিএনপি ছাড়লেন।

অর্থনীতির ছাত্র ইনাম পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে সরকারি চাকরি শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ আমলে সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতাও তার রয়েছে।

ইনাম আহমেদের ভাই ইফতেখার চৌধুরী সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ওই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ তাদের ভগ্নিপতি।

ইনামের বড় ভাই প্রয়াত ফারুক আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব। ছোট ভাই ইফতেখারও পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন।

প্রয়াত ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত