একাদশ সংসদের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাই কোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে আরও ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, অমিত তালুকদার।

অন্যদিকে, আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান এবং অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান।

গত ৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পাঠানো নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুইটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গত ৩ জানুয়ারি নেওয়া শপথ বাতিল বা প্রত্যাহার করতে স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আগের সংসদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এরা দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৩ জানুয়ারি নেওয়া শপথে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।