কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরেক রোহিঙ্গা আসামি মো. হাসান (২০) পুলিশের সঙ্গে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তাকে নিয়ে ওমর ফারুক হত্যা মামলার তিন আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লকের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. ওমর ফারুক (৩০) হত্যা মামলার আসামি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসানকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোমবার ভোরে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শালবাগান ক্যাম্প সংলগ্ন রোহিঙ্গা পাহাড়ি বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসানের সহযোগীরা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গুলিসহ গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ হাসানকে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমদ, কনস্টেবল লিটন ও কনস্টেবল বাহার আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।