সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:১৯

দুদকের আবেদনে ‘নো অর্ডার’, মুক্তিতে বাধা নেই সাংসদ হারুনের

ফাইল ছবি

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে হাই কোর্টে দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা স্থগিতাদেশ আবেদনে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। বুধবার এ আদেশের ফলে সাংসদ হারুন অর রশীদের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

সাংসদ হিসেবে শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে দুর্নীতির মাধ্যমে তা বিক্রির অভিযোগের মামলায় দণ্ডিত হন বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশীদ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়। সম্প্রতি তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। হারুনের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। আর এই আবেদনে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।

বুধবার আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর হারুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদিন ও হারুনের স্ত্রী আইনজীবী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।

এরআগে হাই কোর্ট এই মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ হারুন অর রশীদকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। সেই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর হাই কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে দুদক। যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে আসে। এবং আপিল বেঞ্চ দুদকের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।

২০০৭ সালে ১৭ মার্চ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন সাংসদ হারুন অর রশীদ ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে একটি হামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেন। পরে গাড়িটি নিজে ব্যবহার না করে ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে বাজারদরের চেয়ে কম দামে এনায়েতুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন।

আইন অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি তিন বছরের আগে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হবে। কিন্তু হারুন সে শর্ত ভঙ্গ করে গাড়িটি বিক্রি করে দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করে সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হারুন অর রশীদকে পাঁচবছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া মামলার পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও একলক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ জজ আদালতের রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত