সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ১৭:১৩

বিএনপির সাংসদ হারুনের জামিন

ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ এমপি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করার পর তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত।

এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এমপি হারুন। সোমবার দুপুরে আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন।

এরআগে সোমবার সকালে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এমপি হারুন তার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। পাশাপাশি জামিনও চেয়েছেন তিনি।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এমপি হারুনকে ৫ বছরের দণ্ড দেন। রায়ে এমপি হারুনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই মামলায় পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশীদ এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন। এর এক সপ্তাহ পরই শুল্কমুক্ত গাড়িটি তিনি বিক্রি করে দেন। গাড়িটি তিনি স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে ক্রেতা মো. এনায়েতুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাড়িটির ইনভয়েস মূল্য ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ টাকা। শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করে শর্তভঙ্গ করে তা বিক্রি করায় সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকার শুল্ক বাবদ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এসআই মো. ইউনুচ আলী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এর এক মাস পরই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত