সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৮:০৯

‘দেহ পাবি, ভ্যাট পাবি না’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমালোচনা, ব্যাখ্যা দিলেন নাদিয়া

ভ্যাটের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যবহৃত একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। 'মন পাবি, দেহ পাবি, তবু ভ্যাট পাবি না-' এমন একটি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন অনেকেই।

তবে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই শ্লোগানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাদিয়া নামের এক আন্দোলনকারী। যার হাতে ধরা এই শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডটি বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্নজনের ফেসবুক টাইমলাইনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

এই শ্লোগানের সমালোচনা করে লেখক হাসান মোরশেদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- 'জয় বাংলা' শ্লোগানকে ব্যাঙ্গ করা, 'মন পাবি দেহ পাবি, ভ্যাট পাবি না' এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক দৈন্যতা প্রকাশ করে। দুইবছর আগের গনজাগরণ থেকে ও এরা শিখতে পারতো আন্দোলনে কীভাবে নান্দনিক হওয়া যায়। আফসোস।

এরকম প্ল্যাকার্ড ও শ্লোগান নিয়ে লেখক আরিফ জেবতিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'কোনো ইন্ডিভিজুয়াল প্ল্যাকার্ড অথবা স্লোগান কিংবা বালখিল্য আচরণ গোটা আন্দোলনের মূল বক্তব্য নয়, এটা না বুঝার কোনো কারন নেই।'

রাজীব রাসেল লিখেছেন, 'একটা মেয়ে প্ল্যাকার্ডে ধরে আছে- "মন পাবি, দেহ পাবি, ভ্যাট পাবি না"। এরা আসলে টাকা দিয়েই শিক্ষা কেনে। বছরে লাখখানেক টাকার শিক্ষা! লেখাপড়া করে পাশ করলে তার শ্লোগান এমন হতো না।'

তবে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান বাঁধন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ানো এবং ওই প্ল্যাকার্ডের শ্লোগানে ঠিক কী বুঝিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিজে মেয়ে বলেই এমন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, এমনটিও দাবি করেছেন নাদিয়া।

নিজের ফেসবুকে তিনি স্লোগানের ব্যাখায় লিখেছেন, 'যদি সরকার আমাদের কথা মানে তাহলে আমরা সরকারের উপর খুব হ্যাপি হবো (মন পাবি)। যদি পুলিশ দিয়ে গুলি করতে চাই তাও রেডি আছি (দেহ পাবি), কিন্তু কোনো ভ্যাট নয়।'

তিনি আরও লিখেছেন, 'এই সিম্পল কথাটা না বুঝে যারা উল্টা-পাল্টা কমেন্ট করছে তাদের কিছু বলার নেই আমার। অন্যদের শ্রদ্ধা করলেই কেবল আপনি কারো কাছ থেকে শ্রদ্ধা পেতে পারেন।'

বাঁধন তার ফেসবুকে আরেক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, 'আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ইস্টওয়েস্টেরও সাবেক শিক্ষার্থী। বেশ ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো একটি পদে কর্মরত আছি। কাল ইউআইটিএস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই প্ল্যাকার্ডসহ ছবিটা তুলেছিলাম। তারপর বসুন্ধরা গেটে গিয়ে বসেছি। আরো অনেক প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ছবি তুলেছি, কিন্তু কোনোটাই আমার নিজের (প্ল্যাকার্ড) না। এই ছবিটা ভাইরাল হয়েছে কারণ আমি মেয়ে এবং লেম মেন্টালিটির কিছু মানুষ আছে। এই প্ল্যাকার্ডের লেখাটা ফানি (মিনিংলেস না, কিন্তু সেটা বোঝার ক্ষমতা সবার নেই)। আমি মেয়ে বলে আসলে আমার প্ল্যাকার্ড ধরা ঠিক হয়নি, ঘরে বসে অন্যরা কে কি করলো সেটা দেখে চুলকানো ঠিক ছিলো, তাই না? আমি নিজেকে মানুষ ভাবতে পছন্দ করি, নিজেকে সেভাবেই ট্রিট করি।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত