সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:২৪

বড়দিনে প্রাণের মঙ্গল ও বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা

প্রাণের মঙ্গল ও বিশ্ববাসীর শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের উৎসব।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই রাজধানীর প্রতিটি গির্জাতে ক্রিসমাস বা বড়দিনের প্রার্থনায় উচ্চারিত হয়েছে শান্তি ও ভালোবাসার বাণী।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চে বুধবার সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন যীশু খ্রিষ্টের অনুসারীরা। নিউ টেস্টামেন্ট থেকে শ্লোক আর গসপেল থেকে সুসমাচার আবৃত্তি করে তারা স্মরণ করছেন মানবজাতির প্রতি যীশুর ব্রত, ত্যাগ ও শিক্ষা।

চার্চের পুরোহিত ফাদার সুব্রত অগাস্টিন সারাবাংলাকে বলেন, মানবের মুক্তির জন্য এসেছিলেন মহান যীশু। বড়দিনে তার সেই বাণী উচ্চারিত হচ্ছে রাজধানীর প্রতিটি চার্চে। স্মরণ করা হচ্ছে মানুষের জন্য করা তার মহান সেই ত্যাগ। ভালোবাসায় ও বিশ্বাসে যীশুর অনুসারীরা আলিঙ্গন করছেন একে অন্যকে।

হলি রোজারিও চার্চে যীশু খ্রিষ্ট ও মাদার মেরির বিভিন্ন প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। পুরো চার্চটিকে সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোতে। প্রার্থনার জায়গাটিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি করে সাজানো হয়েছে। গির্জার প্রধান পুরোহিত যেখানে দাঁড়িয়ে বাইবেলের শ্লোক উচ্চারণ করেন তার পেছনে রাখা হয়েছে একটি হলি ক্রস। তার উপরে সূর্যের আলো প্রবেশের পথ।

চার্চের দর্শনার্থী অদিতি গোমেজ জানান, এই একটি দিনের জন্য আমরা অপেক্ষা করি। সারাদিন ধরে সুসমাচার আবৃত্তি করা হয়। শান্তি, ভালোবাসা ও সুন্দরের পক্ষে আলোচনা করা হয়। দরিদ্র ও দুর্বলের পক্ষ হয়ে এই পৃথিবীতে একজন লড়তে এসেছিলেন, সেটা ভেবে ভালো লাগে। তার জন্য প্রার্থনা করি।

জ্যাকলিন ক্রিস্টিনা বলেন, বড়দিনের উৎসব খুবই আনন্দের। এদিন আমরা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করি। মানব জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করি। বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এমন উৎসবের দিনগুলোতে অন্তত সবাই একত্রিত হওয়া যায়। উৎসবের এই দিকটি আমার বেশি ভালো লাগে।

হলি রোজারিও চার্চে আজ মোট দুটি প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এর একটি সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, অপরটি অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। এছাড়াও কাকরাইলে খ্রিষ্টানদের প্রধান গির্জায় সকাল ৯টায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

হলি রোজারি চার্চের ফাদার সুব্রত অগাস্টিন বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সামাজিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান শুধু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্যই উন্মুক্ত। তবে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তাদের জন্য গির্জায় ব্যবস্থা রাখা আছে। ফলে প্রচুর লোকজন এসে বড়দিনের উৎসব উপভোগ করছেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রাণ ও মানব জাতির মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি। ঈশ্বর প্রার্থনা গ্রহণ করলে আশা করি জরাগ্রস্ত এই পৃথিবীতে মানুষের দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

উল্লেখ্য, যীশু খ্রিষ্টের জন্মকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে পালিত হয় বড়দিন। যীশুর অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, তিনি ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এজন্য জন্মদিনে যীশুর বাণী ও শিক্ষা স্মরণ করেন তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত