সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:৫২

ভারতে আটকেপড়াদের ফেরাতে বিমানের তিনটি বিশেষ ফ্লাইট

করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে আরও বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আগামী ১ মে কলকাতা, ২ মে দিল্লী এবং ৩ মে মুম্বাই থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে ফ্লাইট তিনটি পরিচালনা করা হবে। এসব বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর সকলকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় জানায়, ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আরও কিছু বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। দিল্লী ও মুম্বাই থেকে প্রস্তাবিত ফ্লাইটের বিষয়ে +৯১৮৩৭৭৮৩৩৬০৯ নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

বিমান বাংলাদেশের বরাত দিয়ে হাই কমিশন জানিয়েছে, বিশেষ ফ্লাইটগুলোর টিকেট কেনার জন্য বিমান কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (বাংলাদেশস্থ) বিমানভাড়া জমা দিতে হবে। বিমানের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা যথাসময়ে আপলোড করা হবে। তবে আগ্রহী যাত্রীদেরকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এই তালিকা বিমানের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হবে। তালিকার বাইরে কোনো যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে না। আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ‘আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে’ টিকিট পাওয়া যাবে। তালিকায় নাম থাকা মানেই টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে না।

বিজ্ঞাপন

হাই কমিশন আরও জানিয়েছে, তালিকাভুক্তির জন্য যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট সমন্বয়কারি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে সকল যাত্রী দিল্লী থেকে বিমানের আগামী ২ মে’র ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে চান শুধু তাদেরকে নিজ নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনে [email protected] এই ঠিকানায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৩০ এপ্রিল, ১ মে এবং ২ মে তারিখে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট চেন্নাই-ঢাকা রুটে পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চেন্নাই ও পাশ্ববর্তী এলাকার অবস্থান করা বাংলাদেশিদের এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও যাত্রার আনুষ্ঠানিকতার জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

সকল যাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থায় বা যানবাহনে বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটের জন্য উপস্থিত হতে হবে। তবে, বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে। যাত্রীদের বাসস্থানের ঠিকানা থেকে যাত্রার সময়, যানবাহন ও চালকের বিবরণ পাঠিয়ে হাই কমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।

হাই কমিশনের বার্তায় আরও বলা হয়, বিমানে আরোহনের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই ‘কোভিড-১৯ মুক্ত’ বা ‘কোভিড-১৯ উপসর্গমুক্ত’ সনদ থাকতে হবে। সকল যাত্রীকে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত