সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মে, ২০২০ ২১:১৭

ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, ভোলায় সংঘর্ষে আহত ১০

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ভোলায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর জেলার মনপুরার চৌমুহনী বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফেসবুকে পোস্টকারীকে।

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে যুবকের বিরুদ্ধে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ধর্ম অবমাননাকারী ওই যুবক রামনেওয়াজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে। স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে তিনি মাছের ব্যবসা করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে’ একটি পোস্ট করেন।

ওসি সাখাওয়াত হোসেন স্থানীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ওই ওই যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট করা হয়। এর জের ধরে জুমার নামাজের পর উপজেলার রামনেওয়াজ জামে মসজিদ, কাউয়ারটেক কিল্লার পাড় জামে মসজিদ ও চৌমুহনী জামে মসজিদের মানুষ মিছিল করে রামনেওয়াজ চৌমুহনী বাজারে জমায়েত হয়। মিছিলের কিছু লোক বাজারে ওই যুবকের দোকানে হামলা চালালে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাধা দেয়, তাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’

বিজ্ঞাপন

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ও রামনেওয়াজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত উল্লা আলমগীর।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে জহির, সাইফুল, করিম, আল আমিন, রাহাত ও ছোট করিমের নাম জানা গেছে। ওসি জানান, তারা সবাই উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ফেসবুকে মন্তব্য করার ঘটনায় মনপুরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। মুসল্লিরা নামাজের পর মিছিল করে প্রতিবাদ করে। এ সুযোগে কিছু উশৃঙ্খল মানুষ পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে। পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত