১৫ অক্টোবর, ২০১৫ ১৯:৫৬
মন্ত্রীসভায় দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের আইন সংশোধনের প্রেক্ষিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন হারানো দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কারণে তাদের নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করার সুযোগ পেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে কোর্টের আদেশ প্রকাশ পর এমন মন্তব্য করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাঁচটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সরকার। এসব আইনের একটি অধ্যাদেশ হয়ে শিগগিরই কার্যকারিতা পাচ্ছে। বাকী চারটি ভেটিংয়ের পর পাসের জন্য যাবে সংসদে।
২০১৩ সালের গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করার পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় দলটি।ফলে গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি দলটি। যদিও তারা সে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
জাতীয় নির্বাচনে অযোগ্য হলেও পরে সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও কিছু উপ-নির্বাচনেও জামায়াত সমর্থিত অনেকে প্রার্থী হয়েছেন। জিতেও এসেছেন ডজন খানেকের বেশি।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াতনেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে দলীয় সমর্থন নিয়ে পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তৎকালীন আইনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় নি বলে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন।
এদিকে, নিবন্ধন অবৈধ রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত একটি আবেদন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে খারিজ হওয়ার পর তা এখন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জামায়াতকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। সংবিধানের সঙ্গে দলীয় গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হলেও তা সংশোধন করার শর্তে দলটি নিবন্ধন পায়। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি।
হাইকোর্টে নিবন্ধন বাতিলের পর তালিকা থেকে জামায়াতের নাম বাদ না দিয়ে নামের পাশে রায়ের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
২০১৩ সালের অগাস্টে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাই কোর্টের রাযের অনুলিপি বের হয় ওই বছরের নভেম্বরে।
রায় হাতে পাওয়ার পর সে সময় নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছিলেন, আদালতের আদেশেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মন্তব্য