সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১৯

৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন: ইসি

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনাররা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ৪২ নাগরিকের বিভিন্ন অভিযোগের বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসাইন, কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।

৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শুরুতে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, সম্প্রতি দেশের ৪২ নাগরিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন বলে তারা (কমিশনার) শুনেছেন। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন। সিইসি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনায় ১৫ জন বিশেষ বক্তার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দই ছিল না। ফলে, প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশন গত তিন বছরে প্রাধিকারভুক্ত গাড়িই পায়নি। যে গাড়ি ব্যবহার করছে, সেটি কমিশন কার্যালয়ে ব্যবহৃত হতো। কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবং ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন সিইসি।

নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়। সুতরাং বিবৃতিতে যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।

সিইসি দাবি করেন, তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতি আসনে বা পদে প্রার্থী ২ থেকে ৮ জন। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে, এ কথা ভিত্তিহীন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত