সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০১৫ ২৩:১৫

সরকারের নীতির কারণে ব্লগার হত্যা ও জঙ্গিবাদের উত্থান

সরকারের নীতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার হত্যা ও জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

শনিবার বিকেলে (০৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশ এখন ৭৪ সালের আগের অবস্থা ফিরে গেছে। কেবল একটি দলই বাংলাদেশের রাজনীতি করবে, বর্তমান সরকার সংবিধান নিয়ে এমন কৌশল করেছে। গণতন্ত্র না থাকলে ও একদলীয় শাসন বজায় থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে থাকবে এবং এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে।

এছাড়া এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপিকে দোষারোপ করলে দেশে জঙ্গিবাদ আরো বেড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এই দল জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে। যে কোনো ধরণের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান থাকবে। কোনো ঘটনার পর এইভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করলে আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে এবং তারা আরো বেশি উৎসাহিত হবে। এভাবে ব্লেইম গেইম করা ঠিক না।

তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ মারা গেলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি সরকার। এর কারণ হলো পুলিশকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের একমাত্র কাজ বিএনপিকে দমন করা।

মওদুদ বলেন, আজকের সহিংসতা ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এটা জাতীয় সমস্যা। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান দরকার। আসুন সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করি।

সমস্যার সমাধানের জন্য বিএনপি সব সময় সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনা বসার জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

‘রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই, রাজনীতি আজ পয়সাওয়ালাদের হাতে চলে গেছে’ বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব দিবস। সেই দিন সিপাহীরা জিয়াউর রহমানের জন্য ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, ওই বিপ্লবের সাথে দেশের জনগণ যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় জাসদের গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল আর মেজর জিয়াকে গ্রহণ করেছিল।

সরকারের বাধার কারণে দিবসটি উপলক্ষে আর কোনো আলোচনা সভার আয়োজন করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আইজীবীরা এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন, সেই জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উপরে আরো বিপদ আসবে, আইনজীবীরা অতীতে আমাদের সেবা দিয়ে গেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও আরো সেবা দিয়ে যাবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি করে গেছেন জিয়াউর রহমান। আজকে যারা দেশের উন্নয়নের বড়াই করেন, এসব কিছুরই অবদান হলো জিয়াউর রহমানের। বাংলাদেশ যতদিন উন্নয়ন চাইবে, ততদিন শহীদ জিয়াকে স্মরণ করতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে সভায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত