সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ০১:২০

ইসি’র সিদ্ধান্ত আজ

প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচন পেছানো এবং সংসদ সদস্যদের প্রচারে নামার সুযোগ সম্পর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত কী হবে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) ইসির বৈঠক শেষে তিনি তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। যদিও পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধি সংশোধন করে এমপিদের প্রচারে নামার সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে বেশিরভাগ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সদস্য। একইভাবে নির্বাচনের তারিখ পেছানো নিয়েও রাজি নয় ইসি।

এর আগে বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে সবাই যদি নির্বাচন পেছানোর অনুরোধ করে তাতে আওয়ামী লীগের আপত্তি থাকবে না।

ইসির মতে, তফসিলের পরে আচরণবিধি সংশোধন করে এই সুযোগ দেওয়া হলে ইসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠতে পারে।

এছাড়াও এমপিদের বিরুদ্ধে এর আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অসংখ্য অভিযোগ কমিশনে জমা পড়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলছেন তারা।

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, সোমবার (৩০ নভেম্বর) কমিশন সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় পেছানোর দাবিসহ সব ব্যাপারেই কমিশন সভায় আলোচনা হবে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরমর্শ দেন।

রোববার ইসি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল পৃথকভাবে সিইসি'র সঙ্গে বৈঠক করে নিজ নিজ দলের দাবি তুলে ধরেন।

এরপর কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। সিইসি'র সঙ্গে বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমপিরা প্রচারে নামার সুযোগ চেয়েছেন।

জাতীয় পার্টির এমপিরা একই দাবি জানানোর পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ১০ দিন বাড়ানোর কথা বলেছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ১৫ দিন পেছানো এবং দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করাসহ আরো কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এসব দাবির বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর দলগুলোকে এসব বিষয়ে কমিশনের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন।

কাজী রকিব সাংবাদিকদের বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট করা হচ্ছে। যথেষ্ট সময় রেখেছি, যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোট করার লাস্ট চান্স।

সিইসি বলেন, 'আমরা সবার কথা শুনেছি। নিবন্ধিত দলগুলো যেসব দাবি করেন তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে সোমবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।'

ভোট পেছানোর সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ, বিশ্ব ইজতেমা ও পরীক্ষার কারণে ডিসেম্বরে ভোট করার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি সবার জানা। যদি ৩০ ডিসেম্বর ভোট করতে পারি, তা হবে লাস্ট চান্স। তা না হলে আইন ভঙ্গ হয়ে যাবে। ভোট ভোট যদি পেছাতে না পারি, তার কারণ কী, জানিয়ে দেব আমরা।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত