সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:২৩

‘নো অর্ডার’ আপিল বিভাগের, মুক্তি পাচ্ছেন ফখরুল

পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগ ‘নো অর্ডার’ বলে সাড়া দেন নি, ফলে কার্যত হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকল।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে ‘নো অর্ডার’ দেয়।

এতে হাই কোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকায় মির্জা ফখরুলের মুক্তিতে ‘আর কোনো আইনি বাধা নেই’ বলে জানান তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।

আপিল বিভাগে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন। লিওন তার সঙ্গে ছিলেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

বিএনপির এই নেতার জামিন প্রশ্নে আগে দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করে ২৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ তিন মাসের জামিন দেয়।

ওই জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ গত বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে গেলে বিচারক বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তা সোমবার আপিল বেঞ্চে আসে।

পল্টন থানার ওই তিন মামলাসহ নাশকতার সাতটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর হাই কোর্ট মির্জা ফখরুলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ২১ জুন পল্টন থানার ওই তিন মামলায় হাই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন বহাল রাখে।

জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর মুক্তি পেয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন ফখরুল।

এর মধ্যে আত্নসমর্পণ করতে ফখরুলকে আপিল বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় ২ নভেম্বর শেষ হয়। ফখরুল মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও তা নাকচ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

পরদিন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠান।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার ওই সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত