সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জুন, ২০২৩ ১১:৪৯

‘মধ্যস্থতার’ কথা বলেছিলেন আমু, ওবায়দুল কাদের বললেন ‘দরকার নাই’

নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে আমেরিকার তৎপরতায় আওয়ামী লীগের মধ্যেই মধ্যস্থতা বিষয়ে নানা কথা ওঠার পর এনিয়ে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলছেন, নিজেদের সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রয়োজন হলে নিজেরাই সমাধান করব। এখানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে, এমন রাজনৈতিক সংকট দেশে তৈরি হয়নি।

বুধবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। সংকটের সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংবিধানই যদি কোনো দেশে সমাধান না দিতে পারে, তাহলে সেদেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?

বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বান করেছিলেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কি হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।

এরআগে, গতকাল (৬ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই।’

আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। বগল বাজাবার কোনো সুযোগ নেই, বাহবা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার ফন্দিফিকির গত দিনেও (অতীতে) আপনারা করেছেন। আজকেও করার অপচেষ্টা করছেন। বিগত সময় যেমন জাতিসংঘ তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিল, আমাদের দুই দলকে একসঙ্গে নিয়ে মিটিং করে বুঝেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এই ধরনের গড়াগড়ি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল আসুক।’

বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপির অংশ না নেয়ার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলেন কিন্তু সফল হলেন না। এবার নানা রকম অজুহাত তুলছেন। বিদেশিদের কাছে নানা রকম সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছেন। ভিসা নীতিকে আশ্রয় করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ভিসা নীতি কী, বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলেই পরিচয়। আজকে এটা বলার প্রয়োজন নেই। যখন এ বৃক্ষের ফল পড়বে, তখন দেখা যাবে এ বৃক্ষ কী, তখন আপনারা সবাই উপলব্ধি করবেন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত