সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৪০

২ নেতাকে মারধর: ২৪ ঘণ্টায়ও প্রকাশ্য অবস্থান নেই, নিশ্চুপ ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ কর্মকর্তার বেড়ধক মারধরের ঘটনায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা স্ব স্ব জায়গা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে।

তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও রোববার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রকাশ্য অবস্থান জানানো হয়নি।

এমনকি এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এখন পর্যন্ত কোনো মামলার কথাও ভাবছেন না বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে রোববার বিভিন্ন সময় ফোন করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখলে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।

রোববার সন্ধ্যায় সমকালকে তিনি বলেন, যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তরিকতার ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারি। আমরা যদি দেখি, আইনি প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে তার বিচার হচ্ছে বা কাজ হচ্ছে, তাহলে আমাদের কিছু করা ঠিক নয়।

এদিকে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের এমন অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ মনোয়ার মাহিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বই থেকে মুখস্ত করে কর্মীদের সামনে ২-৪ লাইন এস্থেটিক কথা বলাকে রাজনীতি বলে না। রাজনীতি মাঠের জিনিস, রাজপথের জিনিস। কর্মীর বিপদে রাজপথে আসেন, না হলে দিনশেষে বক্তব্যে হাততালি দেওয়ার মতো কর্মী থাকবে না।’

মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মিনহাজুল ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চর্যাপদের কবিরা যেমন দ্রোহ করে নাই, তেমনি এখনকার জারুল ফুলের কবিরাও করে না। খালি আহহা, উহহো করে গলা ফাটাইতে পারে৷’

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ‘নিরব’ অবস্থানকেও সমর্থন জানিয়েছেন কেউ কেউ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আকিব মুহাম্মদ ফুয়াদ লিখেছেন, ‘ঘটনা ঘটে, তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়। আবেগ, অনুভূতি, ক্ষোভ প্রকাশ পায়। সব ঠিক। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে ছাত্রলীগ লাগামহীন হতে পারে না, হবেও না। ছাত্রলীগ নিয়মতান্ত্রিক পথেই হাঁটবে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানার ভেতিরে নিয়ে বেড়ধক পেটান। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত