হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ জুন, ২০২৫ ২৩:০৯

হবিগঞ্জে এনসিপির কমিটিতে হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতারা

হবিগঞ্জে সদ্যঘোষিত জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আংশিক সমন্বয় কমিটিতে হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজির মামলার একাধিক আসামি এবং আওয়ামী লীগের নেতারা। এতে দলের ভেতরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

১৫ জুন হবিগঞ্জ জেলার আংশিক সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। নাহিদ উদ্দিন তারেককে প্রধান সমন্বয়কারী ও মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরীকে যুগ্ম সমন্বয়ক করে ২৩ সদস্যের এই জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত এ কমিটি কাজ করবে।


জানা যায়, ঘোষিত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কামাল আহমেদ, চুনারুঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নোমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন এবং মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মির দুলাল।

মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি থাকার অভিযোগ রয়েছে। আর নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে।

নতুন কমিটির আরেক সদস্য হারুন আল রশিদ সরাসরি জানিয়েছেন, “আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাকে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই কমিটিতে রাখা হয়েছে।”

এই বিষয়ে এনসিপির জেলা কমিটির সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘এই কমিটি এনসিপির মূল দর্শন, বিশেষ করে জুলাই চেতনার পরিপন্থী। কমিটির অন্তত ১০ জন সদস্যকে নিয়ে গুরুতর বিতর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ হত্যামামলার আসামি, কেউ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার, আবার কেউ অন্য দলের সক্রিয় রাজনীতিক।’

তবে কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদ উদ্দিন তারেক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কমিটিতে থাকা ব্যক্তিরা হয়তো আগে বিভিন্ন দলে ছিলেন, তবে বর্তমানে তারা এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তারা আমাদের চেতনা ও আদর্শ মেনেই দলে যোগ দিয়েছেন।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘যেসব মামলার কথা বলা হচ্ছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক বা ষড়যন্ত্রমূলক। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় বাদী নিজেই জানেন না কারা প্রকৃত আসামি। মাদক ও চাঁদাবাজির মামলাগুলোর প্রকৃত কারণ ও প্রেক্ষাপট যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত