সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৯:৩৩

‘নৌমন্ত্রী জাসদের রাজনীতি আ.লীগকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন’

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ও নাস্তিক আখ্যা দিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ‘শাজাহান খান সাহেব, আপনি জাসদের রাজনীতি করেছেন, এখন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে জাসদের রাজনীতি আওয়ামী লীগকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।’

মহাসচিব ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা জানি আপনারা ধর্মের বিরুদ্ধে; আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে; কুরআনের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামের দেশ; মুসলমানের দেশ। এই দেশে নাস্তিক মুরতাদের ঠাঁই হবে না।’

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে গেটে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামিয়া ইউনুছিয়া ও নারায়ণগঞ্জ মক্কীনগর মাদরাসায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ, দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সারাদেশের উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানী বন্ধ, হত্যা, খুন, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

শাজাহান খান ছাড়াও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল উদ্দেশ করে ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘একজন মন্ত্রী, কমিশনার ইলেকশন করেছিলেন, নাম না কি তার কামরুল। মানুষ বলে পচা গম। প্রধানমন্ত্রীর করুণায় মন্ত্রী হয়ে, মুসলমানদের আঘাত করবেন, কওমি মাদরাসার উপর আঘাত করবেন, কুরআনের উপর আঘাত করবেন, আবার মন্ত্রী হিসেবে থাকবেন, এটা বাংলার মাটিতে হতে পারে না।’

এসময় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য রবিউল মোক্তাদিরকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘যারা কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে কথা বলে, ওরা মূলত কুরআনের বিরুদ্ধে কথা বলে। কারণ কওমি মাদরাসায় কোরআন শিক্ষা দেয়। আল্লাহর ঐশী দানের শিক্ষা দেয়। যারা কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলে ওরা মুসলমান না।’

ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা মঈনউদ্দিন রুহী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মুফতি সাইফুল ইসলাম, রিয়াজাতুল্লাহ, আনছারুল হক ইমরান, মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, হাউজ বিল্ডিং, দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে গিয়ে শেষ হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত