সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬

জুলাই-শহিদ মুগ্ধর ভাই মীর স্নিগ্ধ পেলেন না বিএনপির মনোনয়ন

গত ৪ নভেম্বর বিএনপিতে যোগ দেন জুলাই আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। দলে যোগদানের পর পরই বিএনপির মনোনয়নে উত্তরাকেন্দ্রিক আসনে (ঢাকা-১৮) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দেয়নি।

বৃহস্পতিবার বিএনপি আরও যে ৩৬ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করে তাতে নাই মীর স্নিগ্ধর নাম। স্নিগ্ধর চাওয়া ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরা ও বিমানবন্দর) আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক।

বিগত আওয়ামী লীগের আমলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ৩২৯টি। দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে রায়ও হয়েছিল, সাজা খেটেছিলেন আড়াই বছর।

বৃহস্পতিবার এ আসন ছাড়াও ঢাকা-৭ (রাজধানীর লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, কামরাঙ্গীরচর ও কোতোয়ালি আংশিক) আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ (সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা) আসনে হাবিবুর রশিদ, ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ) আসনে শেখ রবিউল আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

এর আগে ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। একদিন পর মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়েছিল। সে হিসাবে মোট ২৭২ আসনে দলটির প্রার্থী ঘোষণা করা হল এবং ২৮টি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ থাকল।

অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার আরও তিনটি আসন।

ফাঁকা থাকা আসনের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর (আংশিক) নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩; এই আসনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের জন্যে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।

ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপি ছাড় দিতে পারে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থকে।

এরবাইরে বাকি থাকা ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-২০ আসন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপি। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন। তারা হলেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা জেলা সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি।

উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর ৮ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্নিগ্ধ জানান, ‘যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে আমি উত্তরাকেন্দ্রিক যে আসনটি রয়েছে, সেখানে কাজ করার জন্য চাইব।’

তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে বড় দল বিএনপি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আরও বড় পরিসরে তরুণদেরকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানোর জন্য আরও বড়ভাবে আমি বিএনপির থেকে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারব।’

ওই সাক্ষাৎকারে স্নিগ্ধ বলেন, ‘আপনারা জানেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আমার পুরো জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। আমার যমজ ভাই মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ উত্তরাতে শহিদ হয়েছেন। উত্তরা-আজমপুরে আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি। তাই আমার সব থেকে বেশি কাজ করার আগ্রহ উত্তরাকেন্দ্রিক যে আসনটি রয়েছে সেই আসনটি নিয়ে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত