ডেস্ক রিপোর্ট

০৪ মার্চ, ২০১৬ ২০:৪১

শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি পালন

কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরে ঘাতক আলবদর বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার, ছাত্রসংঘের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গণজাগরণ মঞ্চ। 

শুক্রবার আজ বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২, ৪, ৬ মার্চ বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে এবং ৮ মার্চ সকাল ৮টা থেকে আপিল বিভাগে রায় ঘোষণা পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান চলবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, " কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমকে রক্ষা করতে নানা মহল উঠেপড়ে লেগেছে। একাত্তরে যারা এদেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, এদেশের নারীদের ধর্ষণ করেছে, শিশুহত্যা করেছে, তারা যে দলেরই হোক, যত অর্থবিত্তের মালিকই হোক, সেই যুদ্ধাপরাধীদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে।"

তিনি বলেন, "যদি মীর কাসেমের রায় পরিবর্তন করা হয়, তাকে কোনোভাবে রক্ষা করা হয়, তা হবে ত্রিশ লক্ষ শহিদের প্রতি অবিচার। কাদের মোল্লাকে রক্ষার চেষ্টা আমরা মেনে নেইনি, মীর কাসেমকে রক্ষার চেষ্টা হলে তারও দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে"।

জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, একে অন্যের উপর দায় চাপানো হচ্ছে, আমাদের বিচারপতিদের বক্তব্য নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের লবিস্টরা জলঘোলা করছে, বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। মীর কাসেমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, রাজপথে সোচ্চার থাকতে হবে।"

তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ কোনো আপোষ মেনে নেবে না। যুদ্ধাপরাধীদের কিভাবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে হয়, এদেশের জনগণ জানে। কাদের মোল্লা ভি সাইন দেখিয়ে পার পায়নি, মীর কাসেমও ভি সাইন দেখিয়েছে, সেও পার পাবে না। যত ষড়যন্ত্রই করুক, এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতেই হবে।"

যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, "ইতোমধ্যেই পাবনার গণহত্যাকারী, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মইত্যা রাজাকার ওরফে নিজামীর ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়েছে। এই স্বাধীনতার মাসেই তার রায় কার্যকর করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক"।

তিনি আরো বলেন, "মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির রায় বহাল রাখার দাবিতে আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছি। আগামী ৬ মার্চ আবারও আমরা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। ৮ মার্চ রায় ঘোষণা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান করবে গণজাগরণ মঞ্চ, সেদিন মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় নিয়েই আমরা ঘরে ফিরতে চাই।"

ইমরান এইচ সরকার বলেন, "ন্যায়বিচারের স্বার্থেই মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। নজরুল ইসলামের মতো বিচারপতিরা যখন মীর কাসেমদের হাজার কোটি টাকার হাতছানিতে নির্লজ্জভাবে বিক্রি হন, তখন তাদের কাছে মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচার পাবে! মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় বহাল রাখার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে"।

গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন মারুফ রসূল, তাহমীন সুলতানা স্বাতী, ভাস্কর রাসা প্রমুখ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত