১৫ মে, ২০১৬ ১৩:২৪
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে পুনরায় জেরা ও মামলার ‘তদন্ত ডায়েরী’ তলব চেয়ে করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের ফলে এ মামলার কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
রোববার (১৫ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের সাক্ষ্য সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে রিভিশন আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। সেটি শুনানি শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া, সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির। এর আগে গত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
গত ২১ এপ্রিল অবকাশের সময় হাইকোর্টের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত নিয়মিত বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করার জন্য বলেন।
তারও আগে গত ১৭ এপ্রিল (রোববার) ওই দুটি আবেদন খারিজ করেন বিচারিক আদালত। পরের দিন ১৮ এপ্রিল (সোমবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রমের বিষয়ে করা দুটি আবেদন খারিজের রিভিশন এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন বলে জানান ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী।
এ মামলার কার্যক্রম ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে চলমান আছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আপনার মন্তব্য