২৫ মে, ২০১৬ ১৩:০৭
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলবে-এই মর্মে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে। আর এই রায় প্রকাশের ফলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিচারিক (নিন্ম) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এছাড়াও এই মামলায় আসামী আরও ২৭ নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার(২৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। একই মামলায় বিচারিক আদালতে আগামী ১২ জুন (রোববার) খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার প্রায় ৯ মাস পর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পেল। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মোহম্মদ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
এ মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৬ মে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
এ ছাড়াও ওই বছরের ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনেও পৃথক আরেকটি চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তিনটি চার্জশিটেই খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।
আপনার মন্তব্য