সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৬ ২০:০৮

'সংবাদপত্র, প্রবন্ধে নজরুল নেই'

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘সংবাদপত্রে নজরুল নেই। বিশেষ ক্রোড়পত্রে নেই, কোনো প্রবন্ধে নেই। অথচ তিনি আমাদের জাতীয় কবি। টেলিভিশনেও তাকে অবহেলা করা হচ্ছে। এর জবাব সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে।’

বুধবার সন্ধ্যায় রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার মাধ্যমে মুক্ত পতাকা পেলেও শাসকরা তাদের চরিত্র বদলায়নি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নজরুলের কবিতা সাহস যোগায়। তার কবিতা আন্দোলিত করে উজ্জীবিত করে।’

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করে না। আপোষ করে না। জিয়াউর রহমানের মতো স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে আন্দোলন করছেন খালেদা জিয়া। তিনি ত্যাগ স্বীকার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছি। হ্যাঁ, আমাদের কিছু ত্রুটি থাকতে পারে তবে গণতন্ত্রের জন্য আপোষ করবো না।’

পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলা দিয়ে কিভাবে খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ করা যায় সে কাজ করছে সরকার। সব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যা কিছু ঘটে বিএনপির ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেই বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেয় অথচ প্রতিটি বক্তব্যে বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের হত্যা করছেন আপনারা। অথচ বিএনপিকে দোষারোপ করেন।’

জামায়াত এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে আর পৃষ্টপোষকতা করে বিএনপি, সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেয়া হলে তদন্তকারীরা কোন দিকে না তাকিয়ে বিএনপি নেতাদেরকেই চিহ্নিত করবে। ফলে সুষ্ঠু তদন্তে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যার পর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলাম। অথচ সরকার সেসময় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোনো তদন্ত ছাড়া একচেটিয়া ভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তার মানে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করছে সরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘কাগজে কলমে পরাধীন নয় কিন্তু পরাধীন হয়ে আছি। আজ কোনো অধিকার নেই। শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিনা দোষে আটকে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এমন করা হচ্ছে। ভিন্নমত নিয়ন্ত্রণে দমননীতি অবলম্বন করছে তারা।’

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত