সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ মে, ২০১৬ ২১:০২

বিএনপির একার পক্ষে গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়: মওদুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে’ আনতে হবে। কিন্তু ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখন বিএনপির জন্য ক্রান্তিকাল বা দুঃসময় চলছে বলা যেতে পারে। কিন্তু নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক জুলুমের পরও বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি।

রোববার (২৯ মে) বিকেলে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৫ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। 

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি ওই আলোচনার আয়োজন করে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে ছিলেন। তিনি বক্তব্য দেননি।

এ সময় মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সব গণতান্ত্রিক দল, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, সুশীল সমাজ—সব শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করতে হবে।

এ সময় তিনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নানা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজনীতি থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। মুক্ত অর্থনীতি চালু করেছিলেন। সমৃদ্ধ, সুখী, গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলামকে উদ্ধৃত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮১ সালে না হয়ে ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হলে বাংলাদেশের ভাগ্য কী হতো বলা কঠিন। হয়তো আফগানিস্তান, লাইবেরিয়ার মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হতো বাংলাদেশ।

ইসরায়েলি রাজনীতিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথিত বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, মেন্দি নিজে বলেছেন তাঁর সঙ্গে জয়ের বৈঠক হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বললেন এটি সাজানো নাটক। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তোমাদেরটা সাজানো নাটক আর আমাদেরটা আসল নাটক, নাকি?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও অভিযোগ করেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। এরশাদের শাসনামল, এক–এগারোর সরকারের আমলেও অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আদর্শ সবার মনের মণিকোঠায়। বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত