রায়হান উদ্দিন সুমন,বানিয়াচং

২৫ জুন, ২০১৬ ১৩:৪৬

বানিয়াচংয়ে আড়াই বছরেও হয়নি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

দীর্ঘ কয়েক বছর বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হচ্ছেনা। এখন পর্যন্ত ৮ সদস্য বিশিষ্ট  কমিটি দিয়েই চলছে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড। পুর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ। তরুণ নেতৃত্বের নানামুখী চাপে রয়েছে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলরা। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ নেতাকর্মীরা। ভেঙ্গে পড়েছে ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড।

এর ফলে সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সংগঠনটি এমনটাই মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তবে দীর্ঘদিন পুর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ঘটনাকে দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তারা।

নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন যত দ্রুত কমিটি হবে দলের জন্য ততই মঙ্গলজনক। জানা যায়,গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে সভাপতি হিসেবে আব্দুল হালিম সোহেল,সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হাসান শাহিন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ জেড এম উজ্জ্বল,সাইদুল হাসান শোয়েব,সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন তিতাস,আহবাব হোসেন জুয়েল,সাংগঠনিক সম্পাদক সাইম হাসান পুলক ও কাওছার আহমেদ শিহাব এই ৮ জন সদস্য নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগ। প্রায় আড়াই বছর অতিবাহিত হবার পরেও আজ পর্যন্ত পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি।

এদের মধ্যে সহসভাপতি তিতাস ঢাকায় তার আইন পেশা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যজন ঔষধ কোম্পানিতে তার কর্মজীবন শুরু করেছেন। আর বাকি সদস্যরা যে যার মতো করে বিভিন্ন ব্যবসা বা পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান,আজ পর্যন্ত পুর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। কার্যক্রমেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তারুণ্য নির্ভর দল ছাত্রলীগ করার মতো কাউকে খোঁজে পাওয়া যাবেনা।

এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম সোহেল জানান,আমরা ৬১ জন বিশিষ্ট কমিটি করে ৪ মাস আগে জেলা কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। আশা করি ঈদের পরপরই আমরা কমিটি পেয়ে যাবো। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ব্যস্ত থাকায় সম্ভব হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত