সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জুন, ২০১৬ ১৬:৫১

রওশনের কবিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রসিকতা

“মাননীয় স্পিকার, আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা অনেকগুলো কবিতা আওড়েছেন। সেটা, আমি উনাকে স্বাগত জানাই। শুধু একটা কবিতার ব্যাপারে আমি একটুখানি বলতে চাই। উনি বললেন, ‘বুঝি গো, আমি বুঝিগো ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও, আমি বুঝি না।’ এটা বোধ হয় উনার বাঁ দিকে যিনি (জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ) বসে আছেন, তাঁর দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো।”

বুধবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতার সময় জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের আবৃত্তি করা কবিতা নিয়ে এভাবেই রসিকতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর উচ্চকিত হাসিতে মেতে ওঠেন সাংসদরা। আর জোরে জোরে চাপড়াতে থাকেন টেবিল।

এর আগে সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষকদের ওপর কর আরোপ করার সমালোচনা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ’ছল’ ও ‘দুই বিঘা’ এবং জসীম উদদীনের ’ও বাজান চল যাই চল’ কবিতার কিছু পঙক্তি উদ্ধৃত করেন রওশন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা অনেকগুলো কবিতা আউড়িয়েছেন। এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।

“তবে একটি কবিতা সম্পর্কে আমি বলতে চাই। উনি বলছেন, ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো তব/ছলনা/যে কথা তুমি বলিতে চাও/সে কথা তুমি বল না’।”

বাংলার শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা লাইনগুলি উচ্চারণ করে বলেন, “মনে হয় এই কবিতাটা উনি উনার বাঁ দিকে যিনি বসে আছেন, তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হত।”

বিরোধীদলীয় নেতা রওশনের বামের আসনে থাকা এরশাদ তখন হেসে ওঠেন। আর রওশন টেবিলে চাপড়ান। এক সময় এরশাদ ও রওশন দুজন দুদিকে তাকিয়ে হেসে ওঠেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি উনি কাকে উদ্দেশ্য করে কবিতাটি বলছেন। পরে ভাবলাম এরশাদ সাহেবকে উদ্দেশ্য করেই হয়ত বলছেন। আমি আশাকরি, এরশাদ সাহেব ভবিষ্যতে আর কোনো ছলনা করবেন না।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত