সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০১৬ ০২:০১

এবার মিলাদ পড়ে খালেদার ‘বিতর্কিত জন্মদিন’ পালন করল বিএনপি

কেক না কাটলেও  মিলাদের মাধ‌্যমে ঠিকই এবারও  দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেছে বিএনপি। এই জন্মদিন নিয়েই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই মিলাদে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধু হত‌্যাকাণ্ডের দিন ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদযাপন না করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বানের পর এবার বন‌্যা এবং সরকারি নির্যাতন-নিপীড়নকে কারণ দেখিয়ে কেক কাটেননি খালেদা। তবে মিলাদের মাধ্যমে ঠিকই জন্মদিন পালিত হয়েছে।

মিলাদ অনুষ্ঠানের পর ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবার তার জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। দেশের যে বর্তমান অবস্থা, রাজনৈতিক-সামাজিক এবং বন্যার কারণে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই কারণে তিনি মনে করেছেন, জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান পালন করা সমীচীন নয়।

“আজকে আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করেছি। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি। আরাফাত রহমান সাহেবের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছি।”

মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেসারুল হক। কার্যালয়ের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় সিঁড়িতে দাঁড়িয়েও কর্মীদের মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নিতে দেখা যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান ‍দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিমউদ্দিন আলম, নুর-ই আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, বিলকিস শিরিন, আমিনুল ইসলাম, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল আউয়াল খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, এটিএম আবদুল বারী ড্যানি, আমিরুজ্জামান শিমুল, রফিক শিকদার, আমিনুল ইসলাম, রাজীব আহসান মিলাদে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন  করতে শুরু করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গঠনের পর ১৯৯৩ সাল থেকে তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে।

বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা শুরু করেন।

সে সময়ের একজন যুবদল নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন। কিন্তু ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সরকারিভাবে গণমাধ্যমে তাঁর যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছিল, তা ২১ মার্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত