মারূফ অমিত

২০ অক্টোবর, ২০১৬ ২১:৩৬

আওয়ামী লীগের সম্মেলন : আলোচনায় সিলেটের এক ডজন নেতা

সিলেটের কোন কোন নেতা ঠাঁই পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে- সিলেটের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন এটি। আগামী শনিবার দেশের বৃহৎ এই দলটির ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে আলোচনায় রয়েছেন সিলেট বিভাগের এক ডজন নেতা। এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে এইসব নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলে আশা করছেন তাদের অনুসারীরা। সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পাশাপাশি তাদের অনুসারীদের মধ্যেও বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ। রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এই নেতাদের পদপ্রাপ্তির আশা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গত কয়েকদিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের অনুসারীরা।

পদ পাওয়ার জন্য এই নেতাদের অনেকেও কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, কারা কমিটিতে ঠাঁই পাবেন এ ব্যাপারে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন। দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন সকলে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে সর্বশেষ সিলেট অঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দলের গুরুত্বপূর্ণ এ পদ থেকে তিনি ছিটকে পড়েন সুরঞ্জিত। এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য হতে পারেননি আর কোনো ‌'সিলেটী নেতা'। এবার সিলেট থেকে কেউ প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেতে পারেন বলে আওয়ামী মহলে আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে উচ্চারিত হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নাম। বর্তমান কমিটিতে তিনি শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।

আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এবারও তিনি স্বপদে থাকতে পারেন কিংবা যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। নতুন কমিটিতেও তিনি থাকছেন, এমনটি মনে করেন তাঁর অনুসারীরা।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আবু জাহির, কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে।

আলোচনায় আছেন সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীও। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের নামও রয়েছে আলোচনায়।

সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তাছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের সম্ভাবনা রয়েছে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে।

জেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানায়, দলীয় সভানেত্রীর আদেশ মেনে বিগত সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সিলেট-২ আসনের সাবেক এম পি শফিকুর রহমান চৌধুরী আসতে পারেন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে।
 
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটিতে কারা ঠাঁই পাবেন এ ব্যাপারে কেউ এখন বলতে পারবে না। আমাদের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই সব জানেন। জঙ্গিবাদ দমন, ২০১৯ সালের নির্বাচন, ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টিওয়ানকে সামনে রেখে নেত্রী ঠিক ভাবেই কমিটি গঠন করবেন। তবে আশা করছি, নবীন প্রবীণের সমন্বয়ের সুন্দর একটি কমিটি হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, কমিটিতে কে কিভাবে আসছে আমরা কিছুই জানি না। আমি কমিটিতে আসছি কি না তাও জানি না। এসব জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তবে যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটিতে কে আসছে না আসছে আমি কিছুই জানি না। সবকিছুই নেত্রীর সিদ্ধান্তেই  হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত