সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০১৬ ১২:২৫

ডা. মিলন দিবস আজ

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে সরকারী মদদে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৭ নভেম্বর নিহত হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। আজ তার ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।

তার মৃত্যু এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতির সঞ্চার করে এবং রাজনৈতিক সংগঠন ও ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতি বছর দিনটি শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

ডা. মিলন সহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও কয়েকজন নিহত হলে এক সময় তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এরশাদের দল জাতীয় পার্টি বর্তমানে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল, এবং এরশাদ নিজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত।

আজ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন দিবসটি পালন করছে। শহীদ মিলন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। তিনি ডা. শামসুল আলম খান মিলনসহ স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নুরুল হুদাসহ আরও অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পায় জনগণ। বাণীতে শেখ হাসিনা নব্বই-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা মিলনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দলটি রবিবার সকাল সাতটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সকাল সাড়ে সাতটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সমাধিতে এবং সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত